পুলিশ অফিসারের স্ত্রী খুন এবং একটি মন্দিরের রহস্যময় ভুমিকাঃ তৃতীয় পর্ব
অন্যান্য সব হত্যাকান্ডের মতই কি আড়ালে পড়ে যাবে মিতু হত্যার ঘটনা ?
[ছবিটা ভালো করে লক্ষ্য করুন]


হত্যাকান্ডের প্রায় ৪/৫ দিন পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কিছু স্পষ্ট নিদর্শন থাকার পরও কেন জানি না প্রশাসন সেই পুরোনো গীত গেয়েই যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত মটর সাইকেল এবং মাইক্রোবাস নাকি জব্দ করা হয়েছে এবং আশা করছি খুনী ও ধরা পড়বে, কিন্তু বরাবরের মত কি নেপথ্যের কারিগরগণ নেপথ্যেই রয়ে যাবেন ??

হত্যাকান্ডের দিন সকালে যখন খুনীরা পালিয়ে যাচ্ছিল তখন রাস্তার অপর দিকের মেট্রোপলিটন হাসপাতালের সিসি ক্যামেরায় আবছাভাবে খুনীদের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। কিন্তু রহস্যজনকভাবে যে দিক দিয়ে পালাচ্ছিল ঠিক সেই দিক দিয়েই অবস্থিত গোলপাহাড় মহাশশ্মান কালী মন্দির। এই মন্দির দুটো গেট রয়েছে।

শেষবার যখন চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম, যতটুকু মনে পড়ে সেই মন্দিরের বাহিরে রাস্তার দিকে চারটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এবং সেই সিসি ক্যামেরা দিয়ে অবশ্যই রাস্তার সকল যানবাহন এবং কে বা কারা গমন করছেন তা বোঝা যায় । স্বাভাবিকভাবেই সেই সিসি ক্যামেরায় খুনীদের ছবি আরো স্পষ্ট ভাবে ধরা পড়েছে !!


ঘটনার পর যমুনা টিভির সাংবাদিকরা সেই মন্দিরে যায় সিসি টিভি ফুটেজ দেখার জন্য। কিন্তু মন্দিরের লোকজন জানায়, তারা নাকি নিজেরাও সিসি টিভি ফুটেজ চেক করেছে কিন্তু কিছুই পাচ্ছে না !!! যমুনা টিভির সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে মন্দিরের কম্পিউটার থেকে ফুটেজ ডিলিট করার সময় সকাল ৯:২২। অর্থাৎ হত্যাকাণ্ডের ২ ঘণ্টা ৫২ মিনিট পর ফুটেজটি ডিলিট করা হয়।

মন্দির কর্তৃপক্ষ বলতে চাইছে কে মুছে ফেলেছে তারা জানে না !!!!
[চোরের মন পুলিশ পুলিশ]
সুত্রঃ http://goo.gl/deSv1s

ব্যাপারটা কি রহস্যজনক নয় ?? এটা নিজস্ব লোক ছাড়া কোন মতেই সম্ভব না। অন্য কেউ না বুঝলেও আমি গাঁজা টানিনা। মোটামুটি আইটি নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করি, এই ধরনের স্পর্শকাতর স্থানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বাহিরের কেউ নস্ট করে দিবে এটা অসম্ভব। এটা তো এমন নয় আমি গিয়ে সুইচ টিপে ক্যামেরা বন্ধ করে দিলাম। সিসি ক্যামেরা একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রিত মাধ্যম।

সিসি ক্যামেরার রেকর্ডিং হয় ডিভিআর কার্ডে কিন্তু মূল নিয়ন্ত্রন থাকে একটি পিসিতে। সুতরাং একটি মন্দিরের সিসি ক্যামেরার পিসি পাসওয়ার্ড দেয়া ছাড়া থাকবে তা বলাটা মুত্রখোরি কথাছাড়া আর কিছুই না। তার উপর ব্যাকআপ সহ মুছে ফেলতে হয়েছে। এটা এত স্বল্প সময়ের কোন ব্যাপার না যে বাহিরের কেউ এসে পাসওয়ার্ড দিয়ে কম্পিউটার খুলে সব মুছে, ব্যাকআপ সহ মুছে ফেলবে !


সুতরাং আমি নিশ্চিত, এই ঘটনার সাথে এই মন্দিরের কেউ না কেউ জড়িত। এবং এটা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে দৃশ্যপটে “র” এর আগমন। আর “র” মানেই কি তা আপনারা বুঝে নিন। আমাদের প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা “মোসাদ” এর আগমন টের পেয়েছেন কিন্তু কি এক বিচিত্র কারনে এই অঞ্চলে মোসাদের সহযোগী দের ব্যাপারে বার বার এড়িয়ে যাচ্ছেন !!!

আপনারা এই ঘটনা বেশী বেশী প্রচার করুন। আর এসপি বাবুল নিজেও এই প্রতিবেশী গোয়েন্দা দের নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছিল। পড়তে পারেন আমার এই বিষয়ের উপর পুর্বের দুই পোস্ট। সেখানে আমি আরো অনেক বিশ্লেষণ করেছি –

http://www.animeshraiarko.com/2016/06/blog-post_7.html
http://www.animeshraiarko.com/2016/06/blog-post_6.html

সুতরাং প্রশাসনের নিকট আবেদন রইল সব কিছু যেহেতু আপনারা বুঝতে পারছেন সেহেতু এটুকু ও বুঝে নিন এই ঘটনার নেপথ্যে কাদের হাত আছে। এরপরেও যদি কারো চোখা না খুলে তার জন্য রইল অনেক করুণা।

আমার পস্টের ছবিটির গুগল ম্যাপ ভিউ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন – https://goo.gl/1M1B7u

ধন্যবাদ, ধন্যবাদ সবাইকে ।

লেখক: অনিমেষ রায়